শেষ দিকে দৌড়ানো দূরে থাক, হাঁটতেই যেন বেশ কষ্ট হচ্ছিল। পায়ের ক্র্যাম্প নিয়ে বেশ কয়েকবার মাঠে শুয়ে যন্ত্রণায় কাতরাতেও দেখা গেছে। দলকে বিপদে ফেলে তবুও মাঠ ছাড়তে চাইলেন না। ব্যাট হাতে যুদ্ধটা চালিয়ে গেলেন। যন্ত্রণাকে শক্তিতে পরিণত করেই দলকে লড়াইয়ের পুঁজি এনে দিলেন। নিজেও পৌঁছে গেলেন ম্যাজিক মুহূর্তে। যে মুহূর্তটার স্বপ্ন থাকে সব ব্যাটসম্যানেরই। ওয়ানডে ক্যারিয়ারে অভিষেক সেঞ্চুরি হাঁকালেন তাওহীদ হৃদয়।
ভারতের বিপক্ষে টস জিতে শুরুতে ব্যাট করতে নেমে তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়ছিল বাংলাদেশের ব্যাটিং অর্ডার। মাত্র ৩৫ রানেই ৫ উইকেট হারিয়ে দ্রুত গুটিয়ে যাওয়ার শঙ্কায় ছিল। সেখান থেকে ইতিহাসগড়া জুটি গড়ে দলকে টেনে তোলেন জাকের আলি-হৃদয় জুটি।
১৫৪ রানের জুটিতে তারা অন্তত দুটি রেকর্ড গড়েছেন। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে ষষ্ঠ উইকেটে সর্বোচ্চ রানের রেকর্ড হয়েছিল ১৯ বছর আগে। যা আজ নিজেদের দখলে নিয়েছেন হৃদয়-জাকের। এ ছাড়া ভারতের বিপক্ষেও ওয়ানডের ষষ্ঠ উইকেটে সর্বোচ্চ রানের জুটি এটি। যার সুবাদে ৩৫/৫ থেকে ১৮৯/৬ রানের স্কোর পায় টাইগাররা।
ব্যক্তিগত ফিফটি হাঁকিয়ে সেঞ্চুরির পথে ছিলেন দুজনই। যদিও মোহাম্মদ শামির বলে বড় শট খেলতে গিয়ে কোহলির হাতে ক্যাচ দিয়ে ফিরেছেন জাকের। ১১৪ বলে ৬৮ রান এসেছে তার ব্যাট থেকে। অন্য প্রান্তে তখনো চীনের প্রাচীর হয়ে ছিলেন তাওহীদ হৃদয়। জাকের আলির পর ঝড় তোলার আভাস দিয়ে ফিরে গেছেন রিশাদ হোসেন। টিকতে পারেননি তানজিমও।
শেষ দিকে মনে হচ্ছিল, মাঠ ছেড়ে উঠে যেতে হতে পারে হৃদয়ের। এতটাই নাজুক পরিস্থিতিতে ছিলেন। দৌড়ানো দূরে থাক, সিঙ্গেলস নিতে হাঁটতেই যেন কষ্ট হচ্ছিল। খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়েই শেষ পর্যন্ত ম্যাজিক ফিগারে পৌঁছালেন। শেষ পর্যন্ত ১১৮ বল খেলে ১০০ রান করেই শামির বলে ক্যাচ দিয়ে ফিরেছেন হৃদয়। তবে ততক্ষণে অন্তত লড়াইয়ের মতো পুঁজি পেয়ে যায় বাংলাদেশ।
খুলনা গেজেট/এএজে